এবারের সংখ্যা - ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৫২
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
ধার দিয়েছেন : অভিজিৎ সোম চৌধুরি (ইন্দ্রনাথ ব্যানার্জির মাধ্যমে)
এইরকম একেকটি খামে করেই অভিজিৎবাবুদের মতো অনেকেই তখন পেয়েছেন সোভিয়েত নারী পত্রিকা। আজ এ-জিনিস একেবারেই দুষ্প্রাপ্য।
স্ক্যান করেছেন : সোমনাথ দাশ গুপ্ত
প্রসেস করেছেন : নির্জন সেন
সোভিয়েত ইউনিয়ন ও সোভিয়েত নারী পত্রিকাদুটির গ্রাহক ছিলাম আমিও । বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে হাতদেখা/রাশিফল ইত্যাদি বুজরুকির ব্যাপারগুলো নিয়ে লেখা ছাপানো শুরু করতেই রেগে গিয়ে পত্রিকাগুলো সেরদরে পুরানো কাগজওয়ালাকে বিক্রি করে দিয়েছিলাম । কতবড় ভুল করেছিলাম এখন বুঝতে পারি ।
ReplyDeleteকলকাতার একজন ট্রাফিক পুলিশ সোভিয়েত ইউনিয়ন পত্রিকায় চিঠি দিয়ে সোভিয়েত ট্রাফিক পুলিশদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন । তাঁর ইচ্ছাতে সাড়া দিয়ে পত্রিকায় খুব সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়ে একটা লেখা বেড়িয়েছিলো - এখনও মনে আছে আমার ।
আার একটা ছবিতে গল্প বেড়িয়েছিলো ছোটদের জন্য একটা বাচ্ছা ছেলেকে নিয়ে । নাম ছিলো তার "গুগুৎসে" । এখনও মনে আছে গল্পটা । খুবই ছোট্ট ছেলে গুগুৎসের সখ হয়েছে সেও বড় বড় দাদাদের মত স্কুলে যাবে । একদিন সে গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি হতে গেল । কিন্তু মাস্টারমশাই অত ছোট্ট গুগুৎসেকে দেখে বললেন আরও বড় হয়ে তবে আসতে । তবে এসেই যখন পড়েছে তখন মাস্টারমশায়ের বাগানের আপেল গাছ থেকে একটা আপেল খেয়ে যাক । গুগুৎসে খুবই অপমানিত বোধ করে বাড়ি ফিরে এসে নিজেদের বাগানে একটা "স্কুল" খুলে বসলো । আস্তে আস্তে গুগুৎসের স্কুলে গ্রামের সব কচি-কাঁচারা ভীড় করে আসতে লাগলো । গুগুৎসের "স্কুল" এর খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে সেই মাস্টারমশাই একদিন মজা করে নিজেই গুগুৎসের স্কুলে ভর্তি হতে এলেন । এইবার গুগুৎসের পালা । তবে অন্য কিছু না বলে ও মাস্টারমশাইকে আগে গুগুৎসেদের বাগান থেকে একটা তরমুজ খেয়ে আসতে বললো ।
আর একটা ছড়ার কথা মনে আছে - ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ক্লাসে দিদিমনি জিজ্ঞেস করছেন যে বড় হয়ে কে কে কি হতে চায় ? তখনকার দিনের সোভিয়েত মহাকাশ অভিযানের চরম সাফল্যের কারনে ছোটরা বেশিরভাগই মহাকাশচারী অথবা পাইলট হতে চাইতো । অনেকে সেইরকম অনেক কিছু বলার পরে শেষে একটু সাজতে-গুজতে ভালোবাসে ও ফাঁকিবাজ একটি মেয়ে বলে উঠলো - "কসমোনট হওয়ার জন্য এত কষ্ট করে কি কেউ ?
বড় হয়ে আমি হবো কসমোনটের বৌ ।"
সেই ছড়াটার চারিদিকে পাতা ভরিয়ে প্রচুর ছবিও ছিলো । একটি ছবিতে সেই মেয়েটি একটি মহাকাশযানে মহাকাশচারীর বৌ হয়ে মহাকাশে বেড়াচ্ছে এমন একটি ছবিও ছিলো । বাচ্চাদের কল্পনাকে উশকে দেওয়ার মত প্রচুর লেখা ও ছবি থাকতো ।
আর একটা কমিক স্ট্রিপ বেরুতো একটা বদমাশ ভালুক কে নিয়ে । ও বিভিন্ন রকম বদমায়েশি করার পরে শেষে নিজেই ন্যাজেগোবরে হত ! নামটা ছিলো - "দাঁড়া , দেখাচ্ছি মজা ।"
যাই হোক এখন তো আমি অনুতাপ করছি ঐ পত্রিকাগুলো নষ্ট করে ফেলার জন্য । আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আপনাদের ও শ্রী অভিজিৎ সোম চৌধুরি ও শ্রী ইন্দ্রনাথ ব্যানার্জির প্রতি এই পত্রিকাগুলি সংরক্ষন করার জন্য ।
অসাধারণ আরেকটা পোস্ট, এই পত্রিকা আরো পাব আশা করি :D
ReplyDeleteঅসম্ভবকে সম্ভব করেছেন সোমনাথ, নির্জন, সৌরদীপ, পরাগ ও প্রসেনজিৎ। ধন্যবাদ প্রদান বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ নিতান্তই গৌন। আমাদের সময়কার মানুষগুলোকে শৈশবের স্বপ্নের জগতে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন এই আলোর দূতেরা। প্রার্থনা করি, তাদের জীবনের স্বপ্নগুলো যেন পূরণ হয় আরও রঙিন হয়ে।
ReplyDelete